নার্সদের অবহেলায়  গৌরনদীত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত  গৃহবধু’র মৃত্যু

সময়ের প্রবাহ:
বরিশালের গৌরনদীতে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে ফেরোজা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধু মারা গেছে। রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়। সে (ফেরোজা) উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের ভ্যান চালক মো. আলামিন কবিরাজের স্ত্রী।
মৃত ফেরোজার মেঝ জ্যাঁ লাকি আক্তার  বলেন, আমার জ্যা ফেরোজা মঙ্গলবার জ¦রে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আমি তায়ে শনিবার সকালে গৌরনদী হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখালে ডেঙ্গু পরীক্ষা দেয়।

হাসপাতালের সামনের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্লাড পরীক্ষা করালে রিপোর্টে ডেঙ্গু ধারা পড়েনি। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে ওষুধ সেবনে ফেরোজা আরো বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন রোববার সকাল ৯টার দিকে আমার জ্যাঁকে হাসপাতালে নিয়ে ডা. টিপু সুলতানকে দেখালে ডেঙ্গু পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু ধারা পড়ে  ও রক্তের প্লাটিনামা  ৩৬ হাজারে নেমেছে।  এসময় ডা. টিপু সুলতান ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তাৎক্ণকি আমার জ্যঁকে  (ফেরোজা) হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে ভর্তির পর নার্সরা এসে স্যালাইন  পুশ করে রোগীকে ওষুধ খাওয়ানোার কথা বলে যায়। সারাদিনেও নার্সরা আমার রোগীর  কাছে আসেনি। রাতে ফেরোজা ছটফট শুরু করলে কয়েকবার নার্সদের ডাকতে গেলেও  তারা রোগীর কাছে আসেননি।  নার্সদের উদাসীনতা ও অবহেলা কারণে র্গোী ফেরোজা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ডিউটিরত নার্সরা হাসপাতাল থেকে ছটকে পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাহতা জারাব সালেহিন  বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪৯২ জন ডেঙ্গ রোগী ভর্তি হলেও ৪৭৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।  ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক রোগী স্ট্রোক  করে মারা গেছে।