ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টিআর-কাবিখা প্রকল্পের টাকা ভাগ নিয়ে ইউএনও-পিআইও দ্বন্দ্ব

সময়ের প্রবাহ:

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখা প্রকল্পের প্রায় ৪ কোটি টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রেজাউল করিমের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দিয়েছে।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁরা পিআইও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

চেয়ারম্যানদের অভিযোগ, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পে পিআইও রেজাউল করিম ২৫ শতাংশ নগদ ঘুষ দাবি করেছেন। এছাড়া সরকারি নিয়ম অমান্য করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট-আয়কর এবং প্রত্যেক প্রকল্পে ‘মাস্টাররোল ফাইলিং’ বাবদ অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে পিআইও রেজাউল করিম বলেন, “গত শুক্রবার ইউএনও সানজিদা রহমান ও তাঁর নাজির মাজহার করিম আমার অফিসে এসে ৪ কোটি টাকার প্রকল্পের তালিকা তৈরি করে স্বাক্ষর করতে বলেন। যাচাই না করেই স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইউএনও মহোদয় ক্ষিপ্ত হন।”

অন্যদিকে ইউএনও সানজিদা রহমান জানান, “প্রকল্পের ৮০ শতাংশ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের প্রস্তাব অনুযায়ী, আর বাকি ২০ শতাংশ উপজেলা পরিষদের প্রকল্প। তালিকা প্রস্তুত শেষে স্বাক্ষরের জন্য বলেছিলাম। পিআইও তা মানেননি। অফিস বন্ধের দিনে আমি তাঁর অফিসে গিয়েছিলাম, সেটি তো সরকারি স্থান, এতে সমস্যা কোথায়?”

দুই কর্মকর্তার এই বিরোধে ঈশ্বরগঞ্জ প্রশাসনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, প্রকল্পের অর্থ বণ্টন নিয়েই মূলত এ দ্বন্দ্বের সূচনা।

somoyerprobaho - copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad