ফসিল গ্যাস বিস্তার বন্ধে মোংলায় নৌবহর

সময়ের প্রবাহ:

ফসিল গ্যাস উত্তোলন জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে বড় বাধা সৃষ্টি করছে—এমন মন্তব্য এসেছে মোংলার পশুর নদীতে আয়োজিত বৈশ্বিক নৌবহর কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্লোবাল সাউথে ফসিল গ্যাস বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবি নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমন্বিত কর্মসূচি পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গ্লোবাল সাউথের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু জ্বালানির বাড়তি চাহিদার সমাধান হিসেবে ফসিল গ্যাস নয়, ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে বেছে নিতে হবে। তারা প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জি-২০ ও কপ–৩০-এ জীবাশ্ম জ্বালানির সম্প্রসারণ বন্ধের নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।

নৌবহরের আয়োজন করে— ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার নূর আলম শেখ।

বক্তারা জানান— যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ইরান, কানাডা ও কাতার বিশ্বের বৃহৎ গ্যাস উৎপাদক।

শিল্পোন্নত দেশের বাইরে জ্বালানি চাহিদা ৮৫% বাড়বে, আর গ্লোবাল নর্থ এই চাহিদা পূরণে ফসিল গ্যাসকে প্রচার করছে। বর্তমানে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ায় ৭৬৮টি গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র, ১৫৩টি এলএনজি টার্মিনাল, ৩০০টি পাইপলাইন প্রকল্প, এবং ২৮৪টি গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নাধীন—যা জলবায়ু লক্ষ্যের জন্য হুমকি।

বক্তাদের বার্তা ছিল পরিষ্কার—“স্টপ গ্যাস অ্যান্ড এলএনজি, উই নিড রিনিউএবল এনার্জি।”
এবং “ডোন্ট গ্যাস দ্য সাউথ।” বৃহত্তর বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে মোংলার পশুর নদীসহ ৯টি নদীতে নৌবহর অনুষ্ঠিত হয়।

somoyerprobaho - copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad