আড়াই ঘণ্টা ধরে রায়;  শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড

সময়ের প্রবাহ:

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পেয়েছেন ৫ বছরের কারাদণ্ড।

সোমবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে রায় পাঠ শুরু হয় এবং আড়াই ঘণ্টা পর, দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে রায় ঘোষণা শেষ হয়।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার এজলাসে রায় পাঠ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম রায় এটি জুলাই ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে বিচার হওয়া প্রথম মামলা। রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান বর্তমানে ভারতে পলাতক, আর মামুন গ্রেপ্তার হয়ে ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রধান অভিযোগগুলো তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ ছিল— উসকানিমূলক বক্তব্য আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে হত্যা চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা

তদন্তে বলা হয়, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা এবং ৩০ হাজারকে আহত করা হয়েছিল।

মামলার অগ্রগতি ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর ‘মিসকেস’ থেকে মামলার যাত্রা শুরু। ২০২৫ সালের ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন। ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। ৩৯৭ দিন পর রায় ঘোষণা করা হয়। হাসিনার বিরুদ্ধে মোট চার মামলা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান মামলার মধ্যে— জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মামলার রায় ঘোষণা হলো আজ।

শাপলা চত্বর–২০১৩ ঘটনা নিয়ে আরেক মামলায় ২১ জন আসামি। গুম-হত্যার ঘটনায় আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল শুরুর পর এখন পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধে মোট ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

somoyerprobaho - copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad