সময়ের প্রবাহ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনকে (৩৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাতজনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নিহতের বাবা মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তু মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলীপ (৪৯)। এছাড়া তাঁর সহযোগী বাবুল মিয়া, শাকিল মিয়া, পলাশ মিয়া, টিটন মিয়া, বাপ্পা মিয়া ও কাজল মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাদ্দামের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে স্বজনেরা দেলোয়ার হোসেনসহ দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং থানায় গিয়ে অবস্থান নেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলা রেকর্ড হওয়ায় স্বজনেরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেলোয়ার হোসেন ও কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সিকদারের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়। এতে দেলোয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে সাদ্দামকে প্রতিপক্ষের সহযোগী মনে করেন। পরে মধ্যরাতে দেলোয়ার ও তাঁর সহযোগীরা সাদ্দামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করেন। রাতেই কান্দিপাড়ার শংকর সাহার বাড়ির পূর্ব পাশের রাস্তা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অন্যদিকে একই সন্ধ্যায় মাদ্রাসা রোড এলাকায় গুলির ঘটনায় শাকিল সিকদারকে বন্দুক হাতে গুলি করতে দেখা গেছে ভিডিও ফুটেজে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।