রিপোর্ট- সামজাদ জসি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৪ (কসবা–আখাউড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়াকে বাদ দেওয়ার পর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা, ক্ষোভ ও নজিরবিহীন জনস্রোত। তৃণমূলের দাবি—“কসবা–আখাউড়ার নেতা একজনই, কবীর আহমেদ ভূঁইয়া; অন্য কাউকে মানবে না।”
মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে কয়েকদিন ধরে কসবা শহর মানুষের ঢলে প্লাবিত। কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ—এ আন্দোলনকে ইতোমধ্যে অনেকে সারা দেশের সবচেয়ে আলোচিত প্রতিরোধ কর্মসূচি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ গণমিছিল কসবার আড়াইবাড়ী দরবার শরিফ থেকে শুরু হওয়া গণমিছিলটি স্থানীয়দের দাবি মতে আসনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
কারও মতে ১ লাখ, কারও মতে ১.৫ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন—“মানুষের মাথা দেখাই যাচ্ছিল না”—এমন মন্তব্যও শোনা গেছে।
মিছিলে কসবা উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলসহ সব অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ—কৃষক, শ্রমিক, দোকানি, রিকশাচালক, ছাত্র, প্রবীণ—সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
মিছিল শেষে সুপার মার্কেট এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন,
“জনগণের নেতা একজনই—কবীর আহমেদ ভূঁইয়া। তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে তাঁকেই মনোনয়ন দিতে হবে।”
কেন জনপ্রিয় কবীর আহমেদ ভূঁইয়া?—তৃণমূলের বক্তব্যে প্রধান কারণ দুঃসময়ের ‘মাঠের নেতা’ মামলায় আক্রান্ত, আহত বা গ্রেপ্তার হওয়া দলীয় কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে সহায়তা করেছেন।
এক যুবদল নেতার ভাষায়— “যখন সবাই দূরে সরে যায়, তখন কবীর আহমেদ পাশে দাঁড়ান।”
মানবিক কাজের জন্য মানুষের মনে স্থায়ী জায়গা তাঁর ভূঁইয়া গ্লোবাল ফাউন্ডেশন মহামারিতে রেশন বিতরণ, বন্যায় দুর্গতদের সহায়তা, শীতবস্ত্র বিতরণ, অসহায়দের চিকিৎসা সহায়তা—এসব উদ্যোগে তাকে “মানুষের অভিভাবক” হিসেবে দেখছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের মতে, রাজনীতির বাইরে গিয়ে মানবিক সেবা ও ত্যাগের কারণেই তিনি যুবসমাজের আইকনে পরিণত হয়েছেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোল্লা ফারুক হাসান ।। নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ মাসুদ সরদার।। ই-মেইল : mollafaruk166@gmail.com ।। +88 01766777166
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫