সময়ের প্রবাহ:

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমানের এক সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে সৈকত ইসলাম মান্নান (১৭) নামে এক কলেজছাত্র গুরুতর আহত হয়েছেন।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সৈকত ওই কলেজের ছাত্র এবং পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের অহিদুল মৃধার ছেলে। তিনি আকন কুদ্দুসুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সমর্থক বলে জানা গেছে।

হামলার পরদিন বুধবার রাতেই সৈকত বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈকত জানান, পরীক্ষার পর তিনি কলেজ মাঠে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় বরিশাল-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের অনুসারী একই কলেজের ছাত্র সৌরভ পাইক, রাতুল পাইক, রাব্বি ফকির, জুনায়েত ফকির, হাসান ফকির, সিয়াম সরদার, আলী হাসান, আলিফ ভাট্টি সহ আরও ১০-১৫ জন লাঠি, রড, দা ও ছুরি নিয়ে তার ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। এতে তার মাথায় লোহার রডের আঘাতে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত সৈকতের অভিযোগ, “আমি কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুস ভাইয়ের সমর্থক হওয়ায় প্রতিপক্ষরা বারবার কলেজে না আসার জন্য হুমকি দিচ্ছিল। আজ তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।”

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, “আমার সমর্থকদের চিহ্নিত করে একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। আমরা ধৈর্য ধরছি, কিন্তু প্রশাসন ন্যায্য ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।”

দলীয় মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলেও তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”