অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের দৌড়ঝাঁপ: পুলিশের উপস্থিতিতে নদীপথে পালিয়ে দুই অভিযুক্ত

রিপোর্ট- মোঃ সোলায়মান গনি, কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের কচাকাটায় সংকোশ নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে পুলিশের অভিযানে পালিয়ে গেছে একদল বালু ব্যবসায়ী। বুধবার (১৯ নভেম্বর ২০২৫) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে কচাকাটা থানা পুলিশের একটি দল ওই অভিযান পরিচালনা করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টুংকার চর এলাকার মোফিজুল ইসলামের বাড়ির পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত সংকোশ নদীর একটি অংশে ডিজেলচালিত স্যালো/ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বালু ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ দিকে নৌকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় এবং স্যালো মেশিনটি সঙ্গে নিয়ে যায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভূরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুনতাসির মামুন মুন। তার সঙ্গে ছিলেন কচাকাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লুৎফর রহমান, এসআই মিন্টু মিয়া এবং থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ জানায়, অনুমতি ছাড়া বালু উত্তোলনের কারণে সংকোশ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে নদী ভাঙন, আশপাশের রাস্তা-ঘাট, কৃষিজমি এবং সরকারি স্থাপনার ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে।

অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ড্রেজার মেশিনে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে— ৭৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ৫টি প্লাস্টিক পাইপ (মূল্য প্রায় ৭,৫০০ টাকা)

৯ ফুট লম্বা সাদা প্লাস্টিকের হুস পাইপ (মূল্য প্রায় ৪,০০০ টাকা) ২টি খালি জারিকেন, স্যালো মেশিনের ২টি লোহার হ্যান্ডেল (মূল্য প্রায় ১,২০০ টাকা), এ ঘটনায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০–এর ১৫(১) ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

পলাতক দুই অভিযুক্ত হলো—  স্বপন মিয়া (৪২), পিতা—মোঃ শাহাজাহান মিয়া, ঠিকানা—মাদারগঞ্জ পুরাতন গোডাউন পাড়া।  মোঃ আলামিন মিয়া (৩০), পিতা—মোঃ শাহিনুর রহমান, ঠিকানা—খাসনগর (বল্লভের খাস)

তারা দু’জনই কচাকাটা থানার আওতাধীন এলাকায় বসবাস করেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কচাকাটা থানা পুলিশ।

somoyerprobaho - copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad